Header Ads

Header ADS

তাবরেজ আনসারী হত্যা মামলা কি হার্ড অ্যাটাক বলে চালিয়ে দিল মোদি সরকার।

তাবরেজ আনসারী হার্টঅ্যাটাক করেনি বরং তাকে হত্যা করা হয়েছিল। মোদি সরকার এবং তার বিচার ব্যবস্থা তাবরেজ আনসারী সুবিচার করেনি।


অতি সাম্প্রতিককালে ভারতে সাম্প্রদায়িকতার শিকার হয়ে 18 ঘন্টা নির্যাতনের পর মৃত্যুবরণ করেছিলেন তাবরেজ আনসারী নামক 26 বছরের যুবক। গত 17 ই অক্টোবর ঝাড়খণ্ডের কাঁচড়াপাড়া উপর দিয়ে তাবরেজ আনসারী তাও তার দুই বন্ধু মিলে যাচ্ছিলে রাতের বেলায়। তাকে ধরে মোটরসাইকেল চুরির অপবাদ দিয়ে 18 ঘণ্টা গ্রামবাসী সবাই মিলে নির্মম অত্যাচার চালায়। তার সাথে সেই ছেলেটি সৌভাগ্যক্রমে পালিয়ে যেতে পারলেও তাবরেজ আনসারী পালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। রাতভর চলে তার উপর নির্মম অত্যাচার। তাকে গ্রামবাসী মিলে জয় শ্রীরাম, জয় হনুমান, ইত্যাদি বলতে বাধ্য করে ও তারা পাহাড় করতে ক্ষান্ত হয়নি। নির্মম অত্যাচারের সহ করতে না পেরে সকালবেলা তাবরেজ আনসারী অবস্থা অবনতি হলে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী বলেছিল মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হয়েছে। তখন তাকে কিন্তু চোর বলে সাব্যস্ত করা হয়নি।

পুলিশ তাবরেজ আনসারী অবস্থা অবনতি দেখও তাকে কোন ভালো হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবহেলায় ফেলে রাখি থাকে সেখানে। 21 তারিখ তার অবস্থা অবনতি হলে, তাকে ঝাড়খন্ডে কেন্দ্র হাসপাতাল কোথায় সেখানে তাবরেজ আনসারী মৃত্যুবরন করে।

পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছিল। পুলিশ নিজেও চেয়েছিল যে তাবরেজ আনসারী মারা যাক, নয়তো বা তারা অবহেলায় কেন রাখবে তাকে? 

সর্বপ্রথম পুলিশ রিপোর্টে বলা হয় মোটরসাইকেল তে পড়ে আহত হলে গ্রামবাসী তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ততক্ষণে অত্যাচারের রিপোর্ট বা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অবস্থার গতি বুঝতে পারলে রিপোর্ট কি পরিবর্তন করে। তখন বলা হয় চোর সন্দেহে গ্রামবাসী মায়ের মুখে এক মুসলিম যুবকের মৃত্যু। দুই রকম রিপোর্টের কারণে মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে যায়। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে বিষয়টি। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখি বিজেপি সরকার তাবরেজ আনসারী হত্যাকারীদের মধ্য থেকে কয়েকজন যুবককে গ্রেপ্তার করে। এবং সেই পুলিশ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন কে সাসপেন্ড করে। সারা পৃথিবী শান্ত হয় কারণ তাবরেজ আনসারী বিচার হবে। জাতিসংঘ থেকে চাপ আসতে থাকে ভারতের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। মোদি সরকার পরিস্থিতিটাকে দেওয়ার জন্য বিষয়টাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনেন।

কিন্তু গত কয়েকদিন আগে বিচারের রায় আসে সেখানে দোষীদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয় এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশনে বলা হয়েছে, তাবরেজ আনসারী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তারা তার প্রমাণ হিসেবে ডাক্তারি রিপোর্ট পেশ করে। অথচ সারা পৃথিবী দেখেছে তাবরেজ আনসারী উপরে কিভাবে হামলা করা হয়েছিল। সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে, তাবরেজ আনসারী ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার। 

তবে প্রশ্ন হল কেন ভারত সরকার তাবরেজ আনসারী বিচারকি প্রহসনমূলক বিচার প্রতিষ্ঠা করেছিল? কারণ হলো বিজিবির একটি আরাশের সমর্থিত রাজনৈতিক দল। আর শেষের আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য বিজেপি আরএসএস এর সাথে বদ্ধপরিকর। আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ইসকন বল ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠা। এই প্রতিষ্ঠানগুলো কোন রাজনৈতিক দল নয় মূলত এগুলো সামাজিক সংস্কারের প্রতিষ্ঠান। এই এই সংগঠনগুলো তাদের অনুসারীদের মাঝে হিন্দুত্ববাদ কে জাগ্রত করার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করে থাকে। আরআরএসএস এই সমস্ত দলগুলোর বিশাল সমর্থন পাওয়ার জন্য এবং তাদের নীতিগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তাইতো আমরা দেখি ভারতের নতুন এনআরসির নামে বিজেপি বিরোধীদেরকে নাগরিকত্বহীন করে দিতে চাই

আসুন আমরা আজকে ট্যাবের আনসারীর প্রহসনমূলক বিচারের রায় টা দেখি।


কোন মন্তব্য নেই

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট|||

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট||| আমরা করোনাভাইরাস উৎপত্তি সম্পর্কে ধারাবাহি...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.