Header Ads

Header ADS

বিহারের সীমান্ত এলাকায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে আবারো মুসলিম নির্যাতন।

বিহারে সীমান্ত এলাকায় আবারো জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে জনসম্মুখে মুসলিম যুবককে নির্যাতন।


অতি সাম্প্রতিককালে ভারত একটি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তাদেরই হিন্দুত্ববাদের ভয়াবহতা রূপ ধারণ করেছে। সেখানে আইন এবং মানবতা পুরোপুরি ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্যই ভারতকে নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। সেখানে মুসলিমদের কি কিভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে তা ইতিহাসে বর্বর অধ্যায়ের সূচনা করছেন। ভারতে কখনো গরু গোশত বহন করে হত্যা করা হয়, কখনো বা দেখা যায় শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে ঢাকা হত্যা করা হয়, কখনো বা দেখা যায় শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে মুসলিম নারীদেরকে ধর্ষিত হয়। কখনো বা তাদেরকে ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করা হয়। আমার মনে হয় আরমুস ভারতের মুসলিমদের ভারত সরকারকে পরিত্যাগ করা উচিত। তারা সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে।

হিসেবে আমি দু'চারটে কথা বলব আপনাদের। ভারত সরকার রাষ্ট্রীয় মদদে আরএসএস এবং স্কনেন নেতৃত্বে হিন্দুদেরকে অধ্যায়ন করছে। শুধু তাই নয় ভারত থেকে মুসলিম শূন্য করার জন্য হিন্দুত্ববাদীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা কিছুদিন আগে দেখেছেন তাবরেজ আনসারি হত্যার পরে ভারত সরকার এবং তাদের প্রশাসন কিভাবে প্রহসনের বিচার ব্যবস্থা করেছিল। সারা বিশ্বে আলোচিত হত্যাকান্ড ক্রেতারা হার্ট অ্যাটাক বলে চালিয়ে দিয়েছিল। 17 ঘণ্টা অত্যাচারের পর কোন লোক যদি মারা যায় তাহলে তাকে হত্যা ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে। যদি আমি তোর কার খাতিরে ধরে ধরেও নিই, তাবরেজ আনসারী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। তাহলে আরো একটা প্রশ্ন থেকে যায় তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দদেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া টাও এক ধরনের হত্যাকাণ্ডের মাঝে শামিল। আমার জানামতে সারা পৃথিবীর আইন তাই বলে। এমনকি পৃথিবীর আইনেও বলে যদি কোনো নারীকে ধর্ষিতার বিনিময় মুক্তির শর্ত দেয় এবং তাতে যদি মেয়েটির সম্মতিও দেয় তবে সেটাকে ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী, দর্শনের মাঝে গণ্য করা হয়। ঠিক তেমনি ভাবে ট্যাবলেট আনসারী কে হত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া একই বিধান বর্তাবে বিধান বর্তাবে।

তাছাড়া যে কোন বিচার ব্যবস্থা, তদন্ত কমিশন লাশের গায়ে ক্ষত চিহ্ন খুঁজে দেখে। আর তাতে যদি ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় তাহলে তাকে হত্যাকাণ্ড বলে সাব্যস্ত করা হয়। তাবরেজ আনসারী কে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে সেই যখন সেখানকার উপস্থিত জনতা এবং পুলিশ প্রশাসন সবাই দেখেছে। আর সেই ভিডিও জাতিসংঘ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এরপরেও ভারতের পুলিশ প্রশাসন বলেছে তাকে হত্যা করা হয়নি বরং সে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।


এখন প্রশ্ন হলো পুলিশ প্রশাসন কেন এই মিথ্যাচার টি করেছে। আসল কারণ ছিল একটাই রাষ্ট্রীয় চাপে পুলিশ এই ধরনের কার্যক্রম করেছে। তাছাড়া ভারতের পুলিশ প্রশাসনের প্রশাসনের শতকরা 97 শতাংশ হিন্দু। এই 97% লোকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন না কোন ভাবেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারা হিন্দুত্ববাদ কে অন্তর পোষণ করে। যার কারণে তারা মুসলিমদেরকে পদতলে ভিসা হত্যা করতে চাই। তাই তারা সুযোগ এর সন্ধানে থাকে।


কিছুদিন আগে আমরা দেও দেখেছি যে, একসাথে তিন বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পুলিশ নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের একজন ছিল অন্তঃসত্ত্বা পুলিশের নির্যাতনে তার গর্ভপাত হয়। কোন বিচার হয়নি এর। যদিও বিষয়টা ভারতীয় মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। কে করবে আসলেই বিচার? মোদি সরকার তো ভারত থেকে মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে চাই? তাই তার এজেন্ডা যারা বাস্তবায়ন করছে, তাদেরকে তো আর যাই হোক অপরাধী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া যায় না। বরং তাদেরকে পুরস্কৃত করতে হয়। আর ভারত সরকার তাই করে এসেছে।


আপনারা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, আমি কেরামতি সরকারকে দোষারোপ করছি? এতে মোদি সরকারের হাতের কি প্রমাণ আছে? আসল সত্যটা হলো আপনারা কিছুদিন আগে দেখেছেন, উড়িষ্যার এক বিজেপির সংসদ সদস্য সে বলেছিল, "হিন্দু যুবকদের উচিত 10 জন 10 জন করে মুসলিম নারীদেরকে ধর্ষন করা। আর মুসলিম নারীদের উচিত হিন্দু যুবকদের তাদেরকে দর্শন করতে দেওয়া। দেশকে বাঁচাতে আর কোন উপায় নেই।" এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন, " শুধু ধর্ষণ নয়! বরং তাদের কে ধর্ষণ করে উলঙ্গ করে বাজারে টাঙ্গিয়ে দিতে হবে।" এটাই হবে মুসলমানদের জন্য শিক্ষা।


আপনি হয়তো প্রশ্ন করবেন, একজন সাংসদের বক্তব্যকে দিয়ে, পুরো দলকে বিশ্লেষণ করা যায় না। তাহলে আপনি দিলীপ ঘোষের কথা গুলো শুনুন। তিনি তো তার বক্তব্যে বলেন মুসলিম গোস্ত পিটিয়া, অথবা কখনো কখনো বলেন, গোস্ট পেটিয়া বাঙাল বলে সম্বোধন করেন। এর অর্থটা কি আপনি বুঝেন? অর্থাৎ মুসলিমরা তো গরুর গোস্ত খায়। আর তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছিল। আপনি যদি বলেন। উড়িষ্যার এমপি কোন সাধারণ মানুষ নয়, তিনি একজন সংসদ। আর সংসদের মধ্যেই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশিত হয়। উড়িষ্যার এমপির মাঝি সেটাই প্রকাশ ঘটেছে। আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহ বলেন- " রাজ্যের রাজা চরিত্র জনগণকে প্রভাবিত করে।" তাহলে আমি কেন ধরবো না দলের প্রধান চরিত্র দলের অধস্তন কর্মী অথবা সদস্যদের মাঝে প্রকাশিত হয়।


আমরা যদি ভারতের মুসলিম নির্যাতনের সমস্ত ইতিহাস গুলো পর্যালোচনা করি। তাহলে আমরা সহজেই এর আলোচনা শেষ করতে পারবো না। ভারতে এত পরিমান মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে, তার সামান্য কিছু অংশ মিডিয়াতে প্রকাশিত হলেও, সিংহভাগ থেকে প্রকাশিত। আমরা প্রকাশিত অংশের আলোচনা করলেও বেশ কয়েকদিন পার হয়ে যাবে। তাই এত লম্বা আলোচনা করি আজকে এখানেই শেষ করতে চাই। সর্বশেষ যে কথা দিয়ে শেষ করতে চাই, তা হল, ভারতের মুসলমানদের কে হিন্দু নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর প্রভাবশালী নেতাদের, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে ভারতকে চাপ প্রয়োগ করে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ধর্ম এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে। আর নয় তো পাশেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠী, নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নিজেরাই সোচ্চার হওয়া অস্ত্র নিবে। তাই আমাদেরকে এখনই সোচ্চার হতে হবে। মনে রাখতে হবে ভারতের মুসলিম সংখ্যা কিন্তু 40 লাখ। 40 লাখ লোকের মাঝে যদি এক লাখ লোক অস্ত্রধারণ করে তাহলে ভারতে কবরস্থান হিসেবে পরিণত হবে।


বিহারের সেই নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ নিচে দিয়ে দেওয়া হল দর্শকদের সুবিধার জন্য।










কোন মন্তব্য নেই

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট|||

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট||| আমরা করোনাভাইরাস উৎপত্তি সম্পর্কে ধারাবাহি...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.