Header Ads

Header ADS

সনাতন ধর্ম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া মূর্তিপূজকদের মাঝে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য।

আইয়ামে জাহেলিয়ায় সমাজ ব্যবস্থা ছিল মুক্তার উপর দাঁড়িয়ে। একই সময়ে ভারত বর্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুক্তি প্রচার করে দাঁড়িয়ে। যেহুতু মূর্তিপূজার দিক দিয়ে উভয় ভূখণ্ডের অধিবাসীরা কাছাকাছি ছিল তাই তারা একে অপরকে নিজেদের সহ গোত্রীয় মনে করত। যদিও তাদের দেব দেবতা ছিল আলাদা। ছিল তাদের সংস্কৃতি আলাদা। তেরে দিক থেকে তারা ছিল উভয় সমান।



আরবের প্রাচীন দেবতা (হোবল)


আইয়ামে জাহেলিয়া কি ধর্মীয় জীবন ছিল মূর্তিপূজার উপর প্রতিষ্ঠিত। যদিও তারা দাবী করতো তারা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম এর ধর্মের অনুসারী। তারা বিশ্বাস করতো একই ঈশ্বরে। ঈশ্বরের বিভিন্ন সাহায্যকারী এবং ঈশ্বরকে বিভিন্ন আকৃতি দানের মাধ্যমে তারা লিখিত হয়েছে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য হলো অন্তর্নিহিত দিক থেকে আরবের পত্বরি এবং ভারতবর্ষের পৌত্তলিক মধ্যে ছিল বিরাট পার্থক্য। কারণ তারা বিভিন্ন দেব দেবতার পূজা করলও তারা প্রকৃত পক্ষে ছিল একেশ্বরবাদী। তাদের প্রসঙ্গ কুরআনুল কারিমে বলা হয়েছে,

" আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তারা বলবে আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন।"

" আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ এর মাধ্যমে তোমাদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেন? তারা বলবে নিশ্চয় আল্লাহ করে থাকেন।"

কিন্তু তারা আল্লাহ তায়ালাকে কোন ভাবেই মাধ্যমে ছাড়া পাওয়া চিন্তা করতে পারেনি, তারা মনে করত আল্লাহর কাছে যেতে হলে, অথবা আল্লাহকে পেতে হলে, তাহলে কোন দেব-দেবতা অথবা অন্য কোন ভালো মানুষের আশ্রয় বা সাহায্য নিয়ে আল্লাহকে পেতে হবে। এই ছাড়া একা কিভাবে আল্লাহকে পাওয়া যাবে না। কেননা তারা পাপী পাপী অন্তর নিয়ে আল্লাহকে পাওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে কিভাবে বর্ণনা করা হয়েছে,

" আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কেন ভাই সব দেবতাকে পূজা করো, অথবা এবাদত করো? তারা বলবে আমরা এই সমস্ত দেবতার এবাদত করি না। বরং আমরা এদের এইজন্য ইবাদত করি, এরা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দিবে।"


সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় যে তারা মূলত দেব দেবতা গুনার পূজা করত উপাস্য হিসেবে নয়, বরং এই সমস্ত দ্রাব্যতা কি আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী হিসাবে মনে করত বিধায় তারা এগুলোর পূজা বা এবাদত করত। এছাড়াও ভারতের মূর্তি পূজকদের ধর্ম এসেছিল নমরুদের ধর্ম থেকে। অন্যদিকে আরবের মূর্তি পূজকদের ধর্ম এসেছিল ইব্রাহিম আঃ এর ধর্ম থেকে। উৎসের দিক থেকেও তাদের মাঝে বিশাল পার্থক্য বিদ্যমান ছিল।



সুতরাং আমরা এটুকু বলতে পারি যে, ভারতের মূর্তি পূজকদের সাথে আরব মূর্তিপূজকদের সাথে বাহ্যিক সাদৃশ্য থাকলেও তাদের মাঝে অভ্যন্তরীণ বিশাল একটা দূরত্ব বিদ্যমান ছিল। যা ভারত এবং আরবদের মাঝে পৃথক দেওয়াল সৃষ্টি করেছিল। তাইতো আরবরা কখনো ভারতের সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়নি। আবার ভারতীয়রাও কখনো আরবদের সাথে মিশে একাকার হয়ে আরবের ধর্মকে সমর্থন করেনি। তবে তা সত্ত্বেও তাদের মাজে বাহ্যিক সাদৃশ্য থাকার কারণে একটা আত্মার টান থেকে গিয়েছিল। তাই তো মূর্তিপূজা বিরোধী শক্তি দেখে তারা কখনোই প্রশ্রয় দিত না। যদিও আরবে ইয়াহুদী-খ্রিষ্টান ধর্মের লোকেরা বসবাস করত। আরবের পুত্তলিকা এবং ইয়াহুদী খ্রিস্টানদের মাঝে একপ্রকার ভ্রাতৃত্ব ছিল, এই ভ্রাতৃত্ব টা মনা তো দাঁড়িয়েছিল ইব্রাহিম অঃ এর সাথে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। তারা মনে করত ইয়াহুদী-খ্রিষ্টান এবং আরবের পৌত্তলিকরা একে অপরের ভাই। তাইতো তারা ধর্মীয় এবং ভাবধারায় মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও একাকার হয়ে মক্কাতে হজ করত। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় পৌত্তলিক কোন ভাবেই আরবদের সাথে মিশে একাকার হয়নি। তবে ভারতীয় পৌত্তলিকরা মনে করতো, আরবের পৌত্তলিক এরা মূলত তাদের ধর্ম অনুসরণ করে। এ কারণে তারা আরব পৌত্তলিক বণিকদের কে যথেষ্ট প্রাধান্য দিত যখন তারা বানিজ্যিক হিসেবে ভারতে আসতো।




আরবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়া শুরু করলে, ভারতীয়রা এটি তেমন দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় নি। কারণ তারা এটা কখনো ভাবি নি যে ইসলাম এত দ্রুত পুত্তলি সমাজের উপর বিজয় লাভ করবে। এছাড়াও আরও একটা কারণ ছিল উভয় দল পৌত্তলিক হলেও তাদের মাঝে উৎসগত এবং বিশ্বাস গত ভাবে কিছু পার্থক্য আছে। যা তাদেরকে উদ্বিগ্ন হতে বাধা প্রদান করে।



কিন্তু যখন ইসলাম আরবদের উপর বিজয় লাভ করে, ইয়াহুদী এবং খ্রিস্টান ধর্মের উপর ইসলামের বিজয় সূচিত হয়। তখন তারা মনে মনে ক্ষোভে ফেটে পড়ল। তারা এইটুকু বুঝতে পারলো যে, আরবের মূর্তি পূজকদের ধর্ম পরাজিত হয়নি, বরং ভারতীয়রা ও পরোক্ষ পরাজয় বরণ করেছে। তখন ভারতীয়রা এও বুঝতে পারে যে, ভারতবর্ষের মুক্তি পূজার ধর্মের উপর ইসলাম বিজয় হতে সক্ষম হবে। অচিরেই সনাতন ধর্ম ইসলাম দ্বারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাদের এই ধারণার যথেষ্ট কারণ ছিল, কারণ ততদিনে গণিতের সাহায্যে বহু ভারতীয়র মতে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।




আজও যদি আমরা ভারতীয় মূর্তি পূজকদের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা তাদের চোখে মুখে একই সংসয় দেখতে পাই। তারা জানে যে যদি ইসলাম কোন দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করে তাহলে ওই দেশের পুরনো ধর্ম বিলীন হয়ে যাবে। ভারতীয়রা যখন দেখল পাক-ভারতের মুসলমান এবং হিন্দুদের সংখ্যা বর্তমানে সমান সমান। ফলে হিন্দুত্ববাদীরা এইটুকু বুঝতে সক্ষম হল যে, যদি এই ধারা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। তাহলে সেইদিন আর বেশি দেরি নাই, যে দিন হিন্দুস্থানে হিন্দু ধর্মের লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাইতো আজ অনেক হিন্দুত্ববাদীরা বলে থাকে এই দেশে আমরা ছিলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ, এখন আমরা সংখ্যালঘু কেন? তাই তারা নিজেদের ধর্মকে টিকানোর জন্য ইসলাম এর সাথে ইসলামের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হইছে।



এছাড়াও বিশাল একটা অংশ মুসলিমদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে। এমনকি আরাকানের রাজা ইসলামকে সমর্থন দিয়ে মুসলিমদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দান করতে থাকে। তখন ভারতীয় মূর্তিপূজক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন হয়ে যায়। ভারতবর্ষে মূর্তি পূজার ধর্ম থেকে মানুষ ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে। তখন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং কিভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রবণতা রোধ করা যায় তার জন্য তারা ব্যবস্থা নিতে থাকে। যদিও আরবদের সাথে তখনও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বহাল ছিল।

ইসলাম প্রায় অর্ধ পৃথিবী বিজয় করে ওমর রঃ এর শাসনামলে। তখন সিন্ধু পাদদেশ পর্যন্ত মুসলিমদের শাসন বিস্তৃত হয়েছে। সিন্ধু নদ এলাকায় তখন রাজত্ব করছিলেন রাজা দাহির।  তিনি একজন হিন্দু ধর্মের একনিষ্ঠ সেবক ছিলেন। ইসলামের প্রচার এবং প্রসার ও তাই তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে, ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন লিপ্ত হবে। তার শাসনামলে সিন্ধু নদী এলাকায় মুসলমানদের বাণিজ্যিক কাফেলা কয়েকবার লুঠ করায় জলদস্যুদের দ্বারা। তার সাথে মাবিয়া রাঃ সন্ধি থাকা সত্ত্বেও তিনি ঐ ডাকাত দলের পৃষ্ঠপোষকতা দান করেছিলেন। মাবিয়া রাঃ তাকে 2 বার চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালে তিনি এতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি জানা যায় যে তিনি মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু কে থ্রেট করেছিলেন।

এর ফলশ্রুতিতে কাসেম বিন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু কি সেনাপতি করে মহারাজের লোকের আনহু 720 হিজরীতে ভারতে একটি অভিযান কারণ করেন। আর এই অভিযানে কাশেম বিন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বিজয় লাভ করেন, রাজা দাহির মৃত্যুবরণ করে। দাহিরের বি খুলনা বন্দি হয়ে মহারাজের আনহুর রাজদরবারের করেন।


পরাজিত সিন্দু বাসি তাদের অহংকার চূর্ণ হয়ে গেলে, তখন তারা কূটকৌশলের আশ্রয় নেই। সে সময়কার হিন্দু পুরোহিত ওরা মুসলিমদের থেকে জেনেছিল যে, ইসলামের যুদ্ধনীতি তানি কি হলো, কোন জায়গা আক্রমণ করার আগে এই এলান করে দেয়া হয় যে, এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন, অথবা বশ্যতা স্বীকার করো, নয়তোবা তলোয়ারে ফায়সালা হবে। এর কোনটাই কাসেম বিন আবুবকর করেন নাই। ফলে পুরোহিতরা মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহার কাছে অভিযোগ করেন। তখন তিনি এর ফয়সালার জন্য একজন কাজকে প্রেরণ করেন।


বিচারে ফয়সালা হয়, যেহেতু মুসলমানরা যুদ্ধনীতি লংঘন করেছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়নি, তাই মুসলমানরা সিন্ধু বিজয় করে সিন্ধু ছেড়ে চলে যাবে। সিউড়ি এলাকায় কারা তাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে না। যখন মুসলিমরা সিন্ধু এলাকা ত্যাগ করে যাচ্ছিল দলে দলে, তখন ইসলামের সৌন্দর্য দেখি বিপুল সংখ্যক লোক ইসলাম গ্রহণের প্রতি উৎসাহিত হতে থাকে। ফলে সিন্ধু নদের পাদদেশে ইসলাম প্রচার এবং প্রসার এর উর্বরতা লাভ করে।


অন্যদিকে রাজা দাহিরের কন্যা, তাদের বাবার হত্যার প্রতিশোধ এর জন্য কাসেম বিন আবু বকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনে। মুয়াবিয়া রাঃ কাশেম বিন আবু কাসেম বিন আবু বকর কে বন্দি করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। আর কাশেম বিন আবু বক্কর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।

সুতরাং উক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, সনাতন ধর্ম এবং আইয়ামে যার মুক্তিযুদ্ধের সাথে একটা বাহ্যিক সাদৃশ্য ছিল। যার ফলে ভারতীয়রা মনে করত, আরবের মুক্তিপদ করে তাদের সনাতন ধর্মের একটা অংশ। তাইতো আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশি হিন্দুত্ববাদী পরিষদের সভাপতি গোবিন্দ প্রামাণিক এর বক্তব্যে এ কথাটা উঠে এসেছে। তিনি বলেন,

"মুসলমানদের কাবা তাদের ধর্মীয় মন্দির ছিল, কেননা ইসলাম আসার পূর্বে সেখানে 360 টি মূর্তি ছিল, এবং এই 360 টি মূর্তি পূজা করা হতো। যেহেতু মূর্তিপূজা সনাতন ধর্মের একটা অংশ, সে হত আরবে সনাতন ধর্ম ছিল। তাই মক্কাতুল মোকাররমা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি ধর্মীয় উপসনালয় বা মন্দির।"

এখানে আমরা দেখতে এই যুগের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ও আরবের মূর্তি পূজকদের তাদের ধর্মের সমান কত । সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সাধারণত আরবের মূর্তি পূঁজারীদের কে তাদেরকে তাদের ধর্মের অংশ মনে করে। যেহেতু তারা ছিল মুর্তি পুজক, সেহেতু তারা মনে করত এরা সনাতন ধর্মের বিকৃত একটা অংশ।

কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ছিল এটাই যে, আরবের মুশরিক এবং ভারতের ভক্তদের মাঝে বাহ্যিক সাদৃশ্য থাকলেও তাদের মাঝে অন্তর্নিহিত বিশাল পার্থক্য বিদ্যমান ছিল। এছাড়াও তাদের মাঝে পার্থক্য ছিল, উৎসগত দিক থেকে। আরবের মূর্তিপূজক রা মনে করত তাদের ধর্ম ইব্রাহিম অঃ এর ধর্ম । অন্যদিকে ভারতীয়রা মনে করতো তাদের ধর্ম আদি ধর্ম । এবং মূর্তি পূঁজার ধর্ম । যেহেতু আরবরা মূর্তি পূঁজা করে, তাই সমগোত্রীয়। যেমনটি তারা এখনো বৌদ্ধ, যৌন এবং শিখদের বেলায় মনে করে থাকে। প্রকৃত ঘটনা হল ভারতীয়রা আরবদের সনাতন ধর্মাবলম্বী মনে করলেও আরবরা কখনও তা মনে করেনি। তাইতো দুই জাতি কখনো এক হয়ে মিশে যায় নি। একে অপরের সাথে মিশে বিলীন হয়ে যায়নি। সুতরাং আরব পুত্তলি এবং ভারতীয় পু মাঝে বিশাল পার্থক্য বিদ্যমান ছিল। যা তাদেরকে দুটি জাতি হিসেবে টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল।

কোন মন্তব্য নেই

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট|||

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট||| আমরা করোনাভাইরাস উৎপত্তি সম্পর্কে ধারাবাহি...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.