হিন্দুত্ববাদীদের কর্মকাণ্ড-2য় পর্ব

বাংলাদেশ হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসনের কিছু চিত্র আজ দ্বিতীয় পর্ব

বাংলাদেশ বসে হিন্দুত্ববাদীরা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র বানাতে চায়। তাই তারা বাঙালির ইসরাইলী গ্রামের ফেসবুক পেজ খুলে বাংলাদেশ বিরুদ্ধে কার্যকলাপে লিপ্ত। অথচ আমাদের সরকার ঘুমিয়ে আছে। 

যে দেশের সাথে আমাদের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এমন দেশের সাথে গুপ্ত সম্পর্ক রাখা দেশদ্রোহীতার শামিল নয় কি? যদি দেশ বিরোধী কার্যকলাপ দেশদ্রোহিতার শামিল না হয় তবে আর কোনটা কেঁদে দুইটা বলা যায় আমার জানা নেই।

আমরা নিচের পোস্টটি থেকে বুঝতে পারি, যে আমাদের দেশে কিছু ঈশ্রায়েলি সোর্স রয়েছে যারা হিন্দুত্ববাদের বেশ ধারণ করে আছে। যারা বাংলাদেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। তাদের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা ইজরায়েলের সাহায্য নিবে। বিশ্ব হিন্দুত্ববাদী পরিষদ অথবা হিন্দু মহাজোট অথবা জাতীয় হিন্দু পরিষদ এছাড়াও ইসকন,আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এরা সবাই একই সূত্রে গাঁথা। তারা সবাই বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্তি কোরে রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

এবার আমরা বলতে চাই গ্রুপ থেকে কেনো বাংলাদেশের ইজরাইল নামে নামকরণ করা হয়েছে। এর বেশ কয়েকটা কারণ আমরা বলতে পারি। প্রথম কারণ হলো ইজরায়েল যেমন মিডিলিস্ট উত্তপ্ত করে রেখেছে, মিডিলিস্ট কে ভেঙে খান খান করে দিয়েছে। তেমনি এই ভারতবর্ষে কেউ এরা ভেঙে খান খান করে দিতে চাই। মিডিলিস্ট এ প্রসব বেদনার জন্য ইজরাইল যেমন দায়ী, তেমনিভাবে এই গ্রুপটা ভবিষ্যতে বাংলাকে ভেঙ্গে খানখান করার জন্য দায়ী হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে খান খান করে ছাড়বে অথবা বিলুপ্ত করে ছাড়বে। অথচ আমরা এই কথাটা কোন ভাবে বুঝতে চাচ্ছি না। এটাকে বলব উদাসীনতা।

এর কারণ হলো ,ভারত যে হিন্দুত্ববাদী নীতি গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নের জন্য স্পষ্টভাবে ইজরায়েলের প্ল্যান তে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি। টাইটানিক স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছে যে তাদের সংগঠন হলেও আমাদের জন্য ইসরাইল যেমনটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য।

আপনাদের হয়তো মনে থাকতে পারে, 2006 সালের আলোচিত এর সেই নতুন মধ্যপ্রাচ্যের নকশার কথা। সে নতুন মধ্যপ্রাচ্যের কথা তখন প্রচার করা হলেও প্রকৃতপক্ষে তারা পুরা পৃথিবীর একটি নতুন নকশা তৈরি করেছিল বলে আমরা জানতে পারি। আর তারই ধারাবাহিকতায় এশিয়ার যে নকশা বাস্তবায়ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে নির্বাচিত করে। যেমনিভাবে মধ্যপ্রাচ্যের এই নকশা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত করেছিল ইজরাইলকে। তেমনিভাবে ভারতকে নির্বাচিত করে ভারতবর্ষের কার্যকর নকশা বাস্তবায়নের জন্য।

2006 সালের আলোচিত নতুন মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র প্রকাশ করার পর, আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী মহল ডঃ কামাল হোসেন, গোলাম মাওলা রনি, শাহরিয়া কবির ইত্যাদি সহ যারা আছেন, তারা প্রত্যেকেই বিষয়টাকে হাসি উড়িয়ে দিয়েছিলেন। আজকে সময় এসেছে, সেই কথাটাকে নতুন করে ভেবে দেখার।

[আজকে  রালোপ ফিটারের বিষয়টি আলোচনা কাজকে নাই করি এটা পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে।]