আসামে গর্ভবতী এক মুসলিম নারীকে তুলে নিয়ে পুলিশ নির্যাতন করে তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে।

 হাসানের তিন বোনকে তুলে নিয়ে, রাতভর পুলিশের নির্যাতনে এক বোনের গর্ভপাত।

ভারতে বিজিবি সরকার আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের চিত্র করেছে। এ যেন এক মনে হবেই মুসলিম নিধনের মহোৎসব নেমে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের সময় ভারতীয় হিন্দু গোষ্ঠী। গত তিনদিন আগে আসামের তিন বোনকে রাতের বেলায় বাড়ি থেকে পুলিশ গুটিয়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাদের ছোটভাই পাড়ার এক হিন্দু মেয়েকে প্রেমের কারণে নিয়ে পালিয়ে যাই। মেয়েটির বাবা-মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে, পুলিশ বাড়িতে এসে ছেলেটিকে না পেয়ে তারপরও তিনজনকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। রাতভর চলে অমানবিক পুলিশি নির্যাতন চলে। জানা যায় তাদের শরীরে ইস্ত্রি মেশিন গরম করে ছ্যাঁকা দিয়েছিলো শরীরে। তাদের শ্লীলতাহানি ও করে জানা যায়। পুলিশ কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখায়। ভয় ভুক্তভোগী পরিবার কয়েকদিন কাউকে জানাতে পারেনি ।

গত বিজিবি সরকার আসার পর থেকে ভারতের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করি হিন্দুত্ববাদী জনগোষ্ঠীর ফলে তারা মুসলিমদেরকে কারণে অকারণে হত্যা করে। আর এর পিছনে সরকারি পুলিশ বাহিনী ও সরাসরিভাবে জড়িত যায় ঘটনাকে স্পষ্ট প্রমাণ করে। মূলত হিন্দুদেরকে সংঘটিত করেছে আরএসএস, ইসকন, ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর মত কিছু সামাজিক সংগঠন। তাদের কাজ হাসিলের জন্য তাদেরকে রাজনৈতিক সমর্থন দিচ্ছি বিজেপি। তাইতো আমরা দেখতে পাচ্ছি মুসলিম নির্যাতনের কোনোভাবেই বিচার হচ্ছে না। তাবরেজ আনসারি হত্যার মত বিশ্ব আলোচিত ঘটনা কেউ তারা কিভাবে ধামাচাপা দিয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিচারক পর্যন্ত বিকৃত মানসিকতা প্রদর্শন করি তাবরেজ আনসারী হত্যা কি হার্ড অ্যাটাক বলে চালিয়ে দিয়েছিল।

এ সমস্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করে আমরা বলতে পারি, ভারত মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। হিন্দুত্ববাদ কি পুঁজি করে পুরা ভারতবর্ষের শাসন স্বপ্ন দেখছে। তাই সর্বশেষ কথা হল ভারতের মুসলিম নির্যাতিত, ভারত প্রশ্নবিদ্ধ।

আসামি মুসলিমরা গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছে। তার সামান্য কিছু চিত্র দেওয়া হল।

চেতন এর শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি নিচের এই মুসলিম যুবক