হিন্দুত্ববাদীরা নিজেদের প্রতিমা ও মন্দির লুট করে মুসলিমদের বদনাম করার জন্য, মুসলিমদের মুসলিমদের নামে চালিয়ে দিচ্ছে
বাংলাদেশের যতগুলো মন্দিরে হামলা হয়েছে, বা হচ্ছে আমি মনে করি তার প্রতিটির পিছনে হিন্দুত্ববাদীরা দায়ী। তারা বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রমাণ করতে চাই। উপরের ঘটনাটি আমাদেরকে তাই প্রমাণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া গৈলা ইউনিয়ন এর সরকারের বাড়ির রাধাগোবিন্দ মন্দির। সেখানে মন্দিরের সভাপতি পরান সিঁড়ি নির্দেশেই আরতী রানী শীল মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর এবং মন্দিরের আসবাবপত্র এবং প্রতিবছর এগুলো জিনিস চুরি করে। গত ছয় মাস ধরে ইনভেস্টিগেশন এরপর পুলিশ জানতে পারে জেয়ারতের আরতী রানী শীল এই প্রতিমা ভাঙচুর এবং মন্দিরে আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। পুলিশ তার ঘর থেকে পঞ্চাশটি মন্দিরের প্লেট উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, আরতী রানী শীল এ কাজটি করেছেন মন্দিরের সভাপতির পরান ছিলি নির্দেশে নির্দেশে।

যে সমস্ত কারণে তারা এই কাজগুলো করতে পারে বলে মনে করা হয়। তার কতিপয় কারণ আমরা উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
1. তারা বাংলাদেশকে একটি হিন্দু বিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। এখন প্রশ্ন আসতে পারে বাংলাদেশকে হিন্দি বাড়িতে আসতে পরিণত করলে তাদের কি লাভ হতে পারে।
A. বাংলাদেশকে যদি হিন্দু বিরুদ্ধে রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করা যায় তাহলে বাংলাদেশের হিন্দুরা না ভারতের সহানুভূতি পাবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত হিন্দু ভারতে মাইগ্রেশন করেছে তারা ইন্ডিয়ান সরকার কে একথা বোঝাতে সমর্থ হবে যে তারা বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এতে করে তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে সহজ হবে।
B. আমরা অচিরেই সবাই কমবেশি জানতে পেরেছি যে হিন্দুত্ববাদীরা অখন্ড ভারতের স্বপ্নে দেখি। আর তাদের মাঝে এই স্বপ্ন দেখিয়েছে ইসকন, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দুত্ববাদী পরিষদ, হিন্দু মহাজোট এই সমস্ত নামিয়া সংগঠনের মাধ্যমে। আমরা বহুবার দেখেছি, হিন্দু মহাজোটের নেতা গোবিন্দ প্রামানিক হিন্দুদেরকে সশস্ত্র হতে আহ্বান জানিয়েছে। লক্ষ্মী এসে হিন্দুদের প্রতিটি ঘরে ঘরে টিস্যুর বাহিনী গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন। যা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
C. তারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি হিন্দুবিদ্বেষী রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। যাতে করে তারা যখন অখন্ড ভারতের আন্দোলনে নেমে পড়বে, অথবা সশস্ত্র হয়ে আন্দোলন করবে, তখন বৈদেশী চাপ থেকে জানো তারা রক্ষা পায়। এবং দাদা গোষ্ঠীগুলো যেন তাদেরকে সমর্থন দেয়।
এ লক্ষ্যে আমরা দেখতে পাই প্রিয়া সাহার বালা আমেরিকায় গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছিল যে, বাংলাদেশী 3.75 মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রিস্টান কে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, এবং তাদের বাড়িঘরগুলো মুসলিমরা দখল করে নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কখনো তারা বিচার পায়নি। এবং মুসলিমের আই রাজনীতিক সমর্থন পাচ্ছে।
তিয়াসা হরি কথার বাস্তব প্রমাণ এর জন্য বিভিন্ন মন্দিরগুলোতে তারা নিজেরা গুপ্তা হামলার মাধ্যমে প্রতিমা ভাঙচুর মন্দিরের সম্পদ ভোগ করে বিদেশের কাছে প্রমাণ করতে চাচ্ছি যে বাংলাদেশকে হিন্দুবিদ্বেষী। ফলে যখন তারা সশস্ত্র আন্দোলন করবে, তখন ভারতীয় সমর্থন পেলে যেন ইঙ্গ মার্কিন বাহিনী আকাশপথে তাদের সাহায্য করে। যেমনটি করেছিল ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়াল।
তারা এই কাজটি সফলভাবে করার জন্য ইজরাইলকে মার্কিন মুলুকের বেস্ট লভিং হিসেবে ব্যবহার করছে। আপনারা জেনে থাকবেন যে আমেরিকার পরীক্ষিত বন্ধু। ইজরায়েলের কূটকৌশলে আমেরিকা কখনো মুখ ফিরিয়ে নেয় না।
অলরেডি আমরা দেখেছি যে, কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের সিভিলিয়ান মানুষ যখন ভারত বিরোধী আন্দোলন করেছিল, তখন ভারতের আসামের চাকমা সম্প্রদায় চট্টগ্রামকে স্বায়ত্তশাসন করার জন্য তারাও মানববন্ধন এবং আন্দোলন করেছিল। এই বিষয়গুলো আমাদের কিছু প্রশ্ন অপমান করে একটা ঘটনার সাথে আরেকটা ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে।
2. দ্বিতীয় কারণ হতে পারে তারা বাংলাদেশের যে স্বায়ত্তশাসন চাচ্ছে অথবা হিন্দুদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র চাচ্ছে, তার যেন বহির্বিশ্ব থেকে সমর্থন পায়। সেই লক্ষ্যে তারা বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিম একসাথে বসবাস করা সম্ভব নয় এটা প্রমাণ করতে চাচ্ছে । তারা তারা ভালোভাবে জানি যে, তাদেরকে কাজে সফল হতে হলে অবশ্যই পশ্চিমাদের সাহায্যের প্রয়োজন হবে।
শেষ কথা হল আমাদের মুসলিমদের কে এবং আমাদের শাসকগোষ্ঠী দেরকে ঐক্য হয় এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। কোথাও যেন এই ধরনের কার্যক্রম হতে না পারে। সেই জন্য মুসলিমদেরকে সাধারণ হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। যাতে তাদের কোনভাবেই নির্যাতিত এটা প্রমাণ করতে না পারে। একই সাথে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর প্রতি সরকার এবং প্রশাসনকে যথেষ্ট পরিমাণ সজাগ হতে হবে। স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব প্রসঙ্গে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এবং সাধারন মানুষকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে প্রশাসনকে সাহায্য করতে হবে। দেশের কোথাও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলো যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং তাদের দেশ দ্রোহী কার্যক্রমগুলো কি নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার এবং প্রশাসন কি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণ এবং প্রশাসন ঐক্য একযোগে হিন্দুদের স্বার্থরক্ষা একই সাথে হিন্দুত্ববাদীদের কার্যক্রমের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর দিতে হবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা যে সমস্ত জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে সে সমস্ত কার্যক্রম গুলোকে দেশ দ্রোহী তা প্রমাণ করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশ-বিদেশে তাদের এসমস্ত মিথ্যাচারের ঘটনাকে ফলাও করে প্রচার করতে হবে।
ভারত অবশ্যই এই কাজগুলো করার জন্য কূটনৈতিক কৌশল কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সেজন্য বাংলাদেশকেও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বের যেসমস্ত রাষ্ট্রগুলোতে ভারত কূটকৌশল চালিয়েছেন সেইখানে তাদের হিন্দুত্ববাদী কার্যক্রমকে রোধ করার জন্য ওই সমস্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে অভিহিত করতে হবে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। ওয়াই সি কে মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার জন্য আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রয়োজনে ওআইসি-কে জাতিসংঘের আদলে একটি অন্যতম স্লিম সংগঠন হিসেবে তাদের আধাসামরিক বাহিনী গঠন করে তুলতে হবে। ওআইসি জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের ভূমিকা আরও জোরদার করতে হবে। মুসলিম বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
কেন আন্তর্জাতিক বিষয়টা আনলাম এখানে আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন। কারণ হলো 2006 সালের আলো ফিতরের নতুন মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র কে আবার নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ সেইদিন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র প্রকাশ করলেও তারা সারা বিশ্বের নতুন মানচিত্র প্রণয়ন করেছে বলে জানা যায়। তারা মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রণের জন্য একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলকে চিহ্নিত করেছেন। এমনিভাবে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এশিয়াকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতকে চিহ্নিত করেছে। এটা যদি আমরা বুঝতে না পারি তবে আমি মনে করব আমরা এখনো মায়ের গর্ভে।
আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ হয়তো আমার একথা দ্রুত করতে পারেন। তারা তো সেই দিন রালোপ ফিতরের নতুন মধ্যপ্রাচ্যের বিরোধিতা করেছিলেন। তাদের ধারণা আছে রয়েছে নাকি রফিকের এর বক্তব্য বাস্তবায়িত হয়েছে? এইটুকু বোঝার যদি ক্ষমতা না থাকে তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই। আমার দায়িত্ব ছিল শুধু সচেতন করা। কোন মত কি গিলিয়ে খাইয়ে দেওয়া নয়।
পরিশেষে বলতে চাই, হিন্দুত্ববাদের জাগরন ভারতবর্ষে মুসলিমের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে আমি মনে করি। হিন্দুত্ববাদের প্যাটেন যদি আমরা লক্ষ করি, তবে তার সাথে হিটলারের নাজি ভাবির সাথে স্পষ্ট সাদৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
হিন্দুত্ববাদ কি আমি নাজিবাদ এর সাথে কেন একত্র করেছি। সে সম্পর্কে আমি না হয় নাই বললাম। গত মাসে সংঘের প্রতিবেদন টাই আমি আপনাদের সামনে পেশ করলাম।
আরেকটা রিট এর সাথে সামঞ্জস্য আপনাদের কাছে পেশ করলাম।
[নোটঃ একটা অনুরোধ করলাম আমাকে ঘৃণা করতে পারেন কিন্তু আমার কথা কি একবার চিন্তা করে দেখুন। এর বাস্তবতা আছে কিনা?]
কোন মন্তব্য নেই