কলকাতায় সরকারি অফিসে ইন হিন্দি ভাষায় কথা বলার কারণে এক নারীর প্রতিবাদ
কলিকাতায় সরকারি অফিসে হিন্দি ভাষায় কথা বলার কারণেই এক নারীর প্রতিবাদ করেন।
কলিকাতায় সরকারি অফিসগুলোতে বাঙ্গালীদের নয় নিয়োগ না দিয়ে সরকারি স্কুলে তিন বাঙালি দিন নাই নিয়োগ না দিয়ে হিন্দি ভাষাভাষীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাঙ্গালীদের মাঝে হিন্দি বিরোধী একটা খুব জেগে উঠছে। কারণ কলিকাতায় বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করেছে। যার কারণে তাদের মাঝে চাপা খুব কাজ করছে। ফলশ্রুতিতে বাঙালি এবং বাঙ্গালীদের মাঝে একটা বৈরীভাব তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপি সরকার হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সর্ব ভারতে এক ভাষা চালু করতে চায় তারা। যার কারণে বাঙ্গালীদের মাঝে ক্রমশ হিন্দি বিরোধী মনোভাব চাঙ্গা হয়ে উঠছে। হিন্দি ভাষাভাষী মানুষ মনে করেন যে, কলকাতা একসময় বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। তাই তারা রীতিমতো তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এথেকে পরিত্রাণের জন্য তারা বাংলাতে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করতে চাই, রাষ্ট্রভাষার অজুহাতে। এর ফলে পশ্চিমবাংলার মানুষ ক্রমশ ফেটে পড়ছে।
অন্যদিকে বিজেপি চাচ্ছে, বাঙালিদেরকে যদি অসহায় অবস্থায় রাখা যায়, অথবা দমিয়ে রাখা যায় তবে হয়তো তারা তাদের আশঙ্কা হতে মুক্তি পেতে পারে। তাই তারা চাচ্ছে, পশ্চিমবাংলায় সর্বোচ্চ সরকারি অফিসগুলোতে হিন্দি ভাষাভাষী লোকদেরকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। যাতে করে পশ্চিম বাংলা সর্বদাই তাদের করায়ত্ত থাকে। একই সাথে বাঙালিরা যেন কোণঠাসা হয়ে যায়। "একটা দেশের শক্তিকে দুর্বল করতে হলে, সর্বপ্রথম সে দেশের সংস্কৃতিকে খেয়ে ফেলতে হবে।" আর মোদি সরকার সেদিকে হাঁটছে।
অন্যদিকে তারা আরও একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করে আছে, তাহলে বাংলাদেশে ভারতীয় সংস্কৃতি চালু করা। কারণ যদি বাংলাদেশে ভারতীয় সংস্কৃতি যদি চালু করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণই সের্চ এ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে চাইবে। তাতে ভারতের সিদ্ধি হাসিল হইবে। আর যদি তা নাও হয়, তবে কলিকাতা বাংলাদেশ থেকেই সুরক্ষিত থাকবে। উভয় রাষ্ট্র এক হয়ে হিন্দুত্ববাদ কে ধারণ করলে সমস্যা ভারতীয় রাষ্ট্রে পরিণত হবে। যা যেকোনো সময় ভারত চাইলে তাকে আয়ত্ত করতে পারবে। অথবা ছায়া শাসন করে যেতে সমর্থ হবে।
যাক আমরা কলকাতায় ফিরে আসি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আজান হিন্দি ভাষার প্রতি এতটাই বিদ্বেষী জমা হচ্ছে যে, তারা এখন দাবি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের চাকরি করতে হলে, বাংলা ভাষায় কথা বলতে হবে। আর এই খুব টাই প্রকাশ করেছেন নিচের ভিডিওর মাঝে এক মহিলা। আমি তাকে সাধুবাদ জানাই। এবং শ্রদ্ধা ভক্তি সম্মান জানায় সে দিদির প্রতি যিনি মাতৃভাষাকে আটটি ধরে পড়ে আছেন। দিল্লির শাসকগোষ্ঠী ভাষার উপর আঘাত হানে, যেমনি আঘাত হেনেছিল পূর্বপাকিস্তানের উপর, দেশ বিভক্তির পর পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। বুকের রক্ত দিয়ে, 1952 সালে বাংলাদেশিরা ভাষাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। তার মাধ্যমে বাংলাদেশীরা পেয়েছি এবং সারা বিশ্ববাসী ও পেয়েছে একটি ভাষা দিবস, তথা একুশে ফেব্রুয়ারি। আমি চাইনা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটুক।
আর যদি আবারো ভাষার উপর আঘাত হানা হয়, তবে আমি মনে করি পশ্চিম বঙ্গের লোকেরা যুদ্ধ করি ভাষা কে এবং বাসার দাবির স্বীকৃতি এনে দিবে। জন্ম নিবে আরো একটা একুশে ফেব্রুয়ারি।
নিচের ভিডিওটা দিয়ে দিলাম দর্শকদের জন্য।
কোন মন্তব্য নেই