Header Ads

Header ADS

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| ৩য় পার্ট|||

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| ৩য় পার্ট|||


আমরা দীর্ঘ আলোচনার সূত্র ধরে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। আলোচনা শেষ প্রান্তে এসে আমরা এখন আমাদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কর্নার উৎপত্তি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।  আমরা আলোচনা করছিলাম করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয় নাকি মানুষের সৃষ্টি। আজকে আমাদের তৃতীয় পর্ব। প্রথম পর্বে আমরা আজ আলোচনা করেছিলাম করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উক্তি রেডিও এশিয়া ঈশ্রায়েলি গোয়েন্দা সহার্তোর রিপোর্ট কাল থেকে প্রতি সম্ভব কিনা করোনা উৎপত্তি স্থান এর বিশ্লেষণ ইত্যাদি সম্পর্কে। আজকে আমরা সেই ধারা অব্যাহত রেখে আলোচনা চালিয়ে যাব।


'ওয়ান 400' ও 'করোনাভাইরাস'

1981 সালে লিখিত একটি বিস্ময়কর গ্রন্থের নাম 'The Eyes of Darkness' গ্রন্থটি লিখেছেন 'Dean Koonz' নামক একজন মার্কিন উপন্যাসিক তিনি গ্রন্থটিতে ওয়ান 400 নামে এক জৈবিক অস্ত্রের বর্ণনা দিয়েছেন। যার বর্ণনা সাথে আজকের 'করানো ভাইরাসের' হুবহব মিল রয়েছে। তাই আমরা আমি চাচ্ছি উপন্যাসে বর্ণিত 'ওহান 400' এর সাথে করোনা ভাইরাস এর সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য তুলে ধরার জন্য। যা 'দ্যা এইজ অফ ডার্কনেস' গ্রন্থের একশত 181 থেকে 184 পৃষ্ঠা পর্যন্ত এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।

'ওহান 400' কিঃ

'The Eyes of Darkness' উপন্যাসের 'Whun400' সম্পর্কে যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে আমরা শুধু সেই বর্ণনাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এই বিষয়ে আরো একটা লেখা নিচে আছে যারা সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে চান অথবা বইটি পড়তে চান তারা নিচের লিঙ্ক থেকে বইটি এবং সেই লেখাটি পড়ে আসতে পারবেন।

1."আমরা (স্টাপরা) একে "ওহান ৪০০" নামে ডাকত। কারণ এটি তৈরি করা হয়েছে ওহার শহরের বাইরে 'আর,ডি,এন,এ ল্যাবে' এবং এতে রয়েছে ৪০০ ভাইরাসের স্ট্রাইন, যা মানুষ সৃষ্ট কার্যক্ষম অনুজীব স্ট্রাইন।"


2."ওহান ৪০০ একটি নিখুঁত অস্ত্র। এটা শুধু মানুকে আক্রমণ করে, অন্য কোন প্রানি একে বহন করতে পারেনা। এটা 'সিপিলিসের' মতো। ওহান ৪০০ মানুষের সরিলের ববাহিরে এক মিনিটের বেশি বাঁচতে পারে নানা। যার অর্থ এটি স্থায়ীভাবে বস্তুর দুষিত করণ নয়। বা যা স্থান এবং পশু, প্রনিকে সংক্রমণ করে না। এবংহোস্টিং এর মেয়াদ শেষ হয়। ওহান ৪০০ দ্রুত মারা যায়। এবং লাশের তাপমাত্রা ৮৬ পারহেনেন্ট নিছে নেমে যায়। আপনি কি গড়ে তা দেখতে পাচ্ছেন!"


3."ডাম্ভি বলল: "ঠিক বলেছেন"। "ওহান ৪০০' রয়েছে সকল প্রকার গুরুত্ব, অন্যান্য বায়োলজিকেল এজেন্টের চেয়েও। আপনি এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার মাত্র ৪ঘন্টার মাঝে আপনি সংক্রমণ বাহি হয়ে উঠবেন। এটা হল অবিশ্বাস্য ভাবে বংশ বিস্তার বা ডিম পুটানোর সময়কাল।একজন আক্রান্ত মানুষ ২৪ ঘন্টার বেশী বাঁচতে পারেনা, বেশীর ভাগ মারা যায় ১২ ঘন্টার মধ্যে। এটি খারাপ আফ্রিকার 'ইবোলা' ভাইরাসের চেয়েও এবং 'ইনপেনেটলির' চেয়েও খারাপ। 'ওহান ৪০০' হত্যার রেট ১০০%। কারো বেঁচে থাকার কথা নয়। চাইনারা এটি পরীক্ষা করে করেছে রাজ ববন্ধীদের উপর, তাই তরা ভাল জানে। তারা আবিস্কার করতে সক্ষম হয়নি একে ধ্বংশ করার মত কিছু বা জিবানুনাষক ঔষদ যা এর বিরুদ্ধে কার্যকরী। এই ভাইরাস মস্তিষ্কের কাণ্ডে স্থানান্তরিত হয়, এটি সেখানে গোপন বিষক্রিয়া করে যেন, যেন টিসুক খেয়েপেলে, যা সোজা-সোজি দ্রবিভুত করে পানি জমাড় করে। এটি মস্তিষ্কে অংশকে ধ্বংশ করে দেয়, যাতে সারা সরিলের সয়ংক্রিয় প্রকৃয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যা আক্রান্ত ব্যাক্তির সয়ংক্রিয় কার্যকরী একটি ডাল, বা শ্বাস নেওয়ার অঙ্গ শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেয়।"


4.একই প্রশ্ন আমার, ডেনী যখন থেকে গিয়ার্সে গিয়ে ধরা পড়ে  তখন থেকে আমি এর সাথে যুদ্ধ করছি। সমস্যা হল যে, হল কিছু উচ্চ মর্যাদা অধিকারী এই জাতীয় কাজের প্রতি আকৃষ্ট, কারণ এর গোফনীয়তা, তারা শক্তি অনুভব করে, মারাত্ব এই অস্রগুল দিয়ে লক্ষ লক্ষ হত্যার নকশার মধ্যদিয়ে। সুতরাং তামাগুচির মতো  মেগালোমানিকরাও জড়িত এতে। পুরুষরা এখানে হারুণ জাকারিয়ারকে পছন্দ করে। তারা তাদের শক্তির অপব্যাবহার করে, তারা তাদের কর্তব্য বিকৃত করে। যার ফলে সময় আসার পূর্বে এগুলোকে বন্দের কোন পথ নেই। কিন্তু যদি আমর এই সমস্ত দোকান বন্ধ করি, যদি আমরা বন্ধ করি আমাদের চলমান সকল গবেষণা, কারন, যদি আমরা তামাগুচি লোকদের ভয় পেয়ে যায়, তবে আমরা এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পরাবর্তিত হব। তবে আমাদের শত্রুদের দ্বারা মারাত্মক ভাবে পরাজিত হব, বিশাল একটা সময় আমাদের ভোগাবে। সুতরাং আমাদের কে আরো খারাপের সাথে বাঁচতে শিখতে হবে।"

5.ড্যানির হাত ক্রিস্টিনার দিকে শক্ত হয়ে গেল, এবং সে তার মাথাটি আঘাত করল, তাকে শান্ত করল। ক্রিস্টিনা ডাম্ভি কে বলল, "নিশ্চয় আপনাদের সুরক্ষার দিক নির্দেশনা রয়েছে, যদি এমন ঘটে তবে তার অনুসরণ করেন----"

'করোনা ভাইরাস' ও 'Whun400' এর মাঝে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য।

1. উৎপত্তির বিশ্লেশনঃ 'The Eyes of Darkness' এর বর্ণনা মতে আমরা জানতে পারি যে, 'whun400' উৎপত্তি হলো,  চীনের ওহান শহরের বাইরে অর্থাৎ শহরের কাছাকাছি এলাকার মধ্যে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাস ও ওহান শহরের হুনান মার্কেট থেকে উৎপত্তি।

ওহান400' শহরের বাইরে 'আর ডিএনএ ল্যাবে' তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস এর উৎপত্তি হয়েছে 'হুনান মার্কেটে' সামুদ্রিক মাছ অথবা বন্যপ্রাণী থেকে। রেডিও ফ্রি এশিয়া বলেনঃ 

"চীনের সবচেয়ে উন্নত ভাইরাস গবেষণা পরীক্ষাগার দাবি করা হয়ে, যা 'উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি' নামে পরিচিত।"


এ প্রসঙ্গে ইসরাইলি জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ 'ডেনিম সোহার্তো' বলেন

"যে ল্যাবরেটরিটি চীনের একমাত্র ঘোষিত সাইট যা মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে কাজ করতে সক্ষম।"


হুবেই' প্রদেশের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ঝোংনান হাসপাতালের' অধিনে এই ল্যাবটি কাজ করছে রিপোর্টে দাবি করে।




আমরা যদি গুগল ম্যাপে দিকে যদি তাকাই, তা হলে দেখতে পাব, ল্যাবরেটরি টি হুনান মার্কেট থেকে মাত্র 16 কিলোমিটার দূরে ল্যাবরেটরী অবস্থিত। আমরা দেখতে পাচ্ছি, দা এইজ অফ ডার্কনেজের বর্ণ নাই স্থান এবং উৎপত্তি সম্পর্কিত সকল তথ্য করোনাভাইরাস এর সাথে মিলে যাচ্ছে।


'ওহান400' শহরের আশপাশে কোন ল্যাবে, করানোর উৎপত্তি ওহান শহরে। ধারণা করা হয় 'ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিতে।' যা শহর থেকে মাত্র 16 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিস্ময়কর বিষয় যা চিন্তা করা যায় না এতটা মিল কিভাবে সম্ভব?


2. 'ওহান400' 400 অণুজীবের সমষ্টি। যা 86 ডিগ্রী ফারহানের উপরের তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে না। 


অন্য দিকে করোনা ভাইরাস কেও বিজ্ঞানীরা ভাইরাস বলতে নারাজ। তারা বলেন, এটা এক ধরনের প্রোটিন সমষ্টি, যাকে আমরা চর্বি বলতে পারি, যা ক্ষার জাতীয় পদার্থ দিয়ে 30 সেকেন্ডে ভেঙে দিতে পারে। 86 ডিগ্রী ফারহানের উপরে তাপমাত্রায় এটি গলে যায়। এখানেও আমরা দেখছি হুবহু মিল রয়েছে।


3. 'ওহান 400' মানুষের শরীরের বাহিরে এক মিনিটের বেশি সময় বাঁচতে পারে না। মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণীকে এটি আক্রমণ করে না এবং অন্য কোন প্রাণীর শরীর থেকে বহন করতে পারে না।


অন্যদিকে করোনাভাইরাস মানুষের শরীরের বাইরে স্থান বেদে আলাদা আলাদা সময় বাঁচতে পারে তাও  সর্বোচ্চ একদিন বা দুইদিন। এটি আবার মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর আক্রমণ করে না এবং অন্য কোন প্রাণীর শরীর  একে বহন করতে পারে না।


এখানে আমরা কিছু পার্থক্য দেখতে পাই। তা হল, মানুষের শরীরের বাহিরে এই ভাইরাস কতক্ষণ বাঁচতে পারে তা নিয়ে। যেহেতু আমরা জানি যে, এই ভাইরাসটি একটি প্রোটিনের কণা। যাহা শোষণ এবং গলানোর উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে, যা সস্থান ভেদে আলাদা হয়। আমরা জানি যে, উপন্যাস টি লেখা হয়েছে, 1981 সালে।  এখন 2020 সাল। এই বছর 39 ধরে এ ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করে, এটাকে আরো বেশি ব্যবহারের উপযোগী করা হয়েছে। যাতে তাদের ফাঁদ কেউ ধরতে না পারে। আবার এমনও হতে পারে যে, তারা এই ভাইরাস কে বেশ কয়েকটা ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন নামে সংরক্ষণ করেছে। যেমন মার্স ভাইরাস, সার্চ ভাইরাস, ইবোলা ভাইরাস ইত্যাদি। যার কারণে এর মানুষের শরীরের বাইরের বেঁচে থাকার ক্ষমতা ও পরিবর্তন হয়েছে।


আগেই ভাইরাস হয়তো বা মানুষের শরীরের বাহিরে এক মিনিট বাঁচতে পারতো। এখন তা শোষণ ক্ষমতার উপর নির্ভর করে স্থানভেদে বেঁচে থাকার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটি হওয়া ও অসম্ভব নয়। এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, কোন প্রাণীর শরীর যদি এই ভাইরাস কে বহন করতে না পারে, তাহলে কি করে অন্য প্রাণীর শরীরে এই ভাইরাস ছিল? যেখান থেকে মানুষের কাছে এসেছে। এই প্রশ্নটা অমীমাংসিত।


4. 'ওহান 400' হোস্টিং এর মেয়াদ শেষ হলে এটি মারা যায়।


অন্যদিকে করোনাভাইরাস একটা নির্দিষ্ট সময় পরে অটোমেটিকলি মারা যায়। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন এই ভাইরাস মানুষের শরীরে 21 দিনের বেশি থাকে না। 14 থেকে 21 দিনের মধ্যে এই ভাইরাস অটোমেটিক মৃত্যুবরণ করে।


5. 'ওহান400' আক্রান্ত হওয়ার মাত্র চার ঘণ্টার মাঝে আক্রান্ত ব্যক্তি সংক্রমিত হয়ে উঠেন। তার মানে আক্রমণের 4 ঘন্টা পরে তার শরীর থেকে ভাইরাস অন্যজনকে আক্রমণ করতে পারে।


বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে কিছু সময় শক্তি সঞ্চার করে, মানি বংশবিস্তার করে। তার নতুন জন্মানো ভাইরাস গুলো অন্যদেরকে আক্রমণ করতে সক্ষম। এখানেও একটা পার্থক্য সময়ের, তাও কেবল মাত্র আপডেট করার কারণে সময়ের তারতম্য হয়েছে বলে আমি মনে করি।


6. 'ওহান 400' আক্রান্ত ব্যক্তি 24 ঘন্টার বেশি বাঁচেনা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে 12 ঘন্টার ভিতরে মৃত্যুবরণ করে। এর মৃত্যুর 100%।


অন্যদিকে করোনাভাইরাস এর মৃত্যু রেট 2%+ থেকে বর্তমানে 10% পার্সেন্ট পর্যন্ত। আমরা এখানেও  কিছু পার্থক্য দেখতে পাই, তা হল মৃত্যু হার। এটাও আপডেট করার কারণে হতে পারে।


7. চায়নারা 'ওহান400' কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি।


করোনা ভাইরাসের ও এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।  যা এই রোগকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে পারে।


8. 'ওহান 400' সরাসরি মানুষের মস্তিষ্কের কান্ড চলে যায়, সেখানে গিয়ে বাসা বাদে। আমাদের ব্রেনের ইস্যুগুলোকে খেয়ে, সেখানে বংশবিস্তার করে। আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। যার কারণে মস্তিষ্কের স্বয়ংক্রিয়তা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পাঁচ ঘন্টা সময় পর্যন্ত সংক্রমিত ব্যক্তি বুঝতে পারেননা।


অন্যদিকে করোনা ভাইরাস সরাসরি মানুষের মস্তিষ্কে চলে যায়, আমাদের ব্রেনের টিস্যুগুলো খেয়ে ফেলে, সেখানে বাসা বাঁদে, বংশবিস্তার করে মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের স্বয়ংক্রিয়তা শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেয়। আর পাঁচ দিন পর্যন্ত সংক্রমিত ব্যক্তি বুঝতে পারেনা।


9. 'ওহান 400' খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে।


অন্যদিকে করোনাভাইরাস খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে।


10. 'ওহান400' মানুষের আক্রান্ত ব্যক্তির কণ্ঠনালীতে আক্রমণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বাধা দেয়।


অন্যদিকে করোনাভাইরাস মানুষের কণ্ঠনালিতে আক্রমণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বাধা দেয়।


11. 'ওহান 400' আক্রান্ত ব্যাক্তির মস্তিষ্কে কে আক্রমণ করে, মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং মস্তিষ্কে উল্টাপাল্টা নির্দেশ করতে থাকে।


অন্যদিকে করোনা ভাইরাস মানুষের মস্তিষ্কে আক্রমণ করে তাও মস্তিষ্কে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং মস্তিষ্ককে উল্টাপাল্টা নির্দেশ দেয়। বিভিন্ন তথ্য মতে আমরা জানতে পারি করোনায় আক্রান্ত লোকেরা সামান্য একটু মাতলামি করে থাকেন।


12. সংক্রমিত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ গুলোঃ

The Eyes of Darkness অনুযায়ী 'ওহান 400' এর প্রাথমিক লক্ষণ গুলো  অনুভব করতে লাগলেন।

"হালকা মাথা ঘুরা, হালকা ভমি ভমি ভাব।"


অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ গুলি হলো 'ইউনিসেফের তথ্য মতেঃ

"করোনভাইরাসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। আরও মারাত্মক ক্ষেত্রে, এই সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হতে পারে। তবে, খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ প্রাণঘাতী হয়।"


এখানে আমরা দেখতে পাই কখন এবং 'ওহান400' মাঝে যথেষ্ট মিল রয়েছে। করোনা ভাইরাস এর উপসর্গগুলো একটু বিস্তৃত আকারে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু আমরা যদি পেছনের কার্যবিধি গুলো ফলো করি তাহলে দেখতে পাব যে, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট, সর্দি ও কাশি, এর সাথে সম্পৃক্ত হবে। কারণ 'ওহান 400' মস্তিষ্কে আক্রমণ করে সেখানে পানি জমাট করে যা সর্দি হিসেবে বের হবে। কণ্ঠনালীতে আক্রমণ করলে, কণ্ঠনালীতে ব্যথা হবে এবং খুসখুসে কাশি হবে, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিবে। এবার আপনি মিলিয়ে দেখতে পারেন যে, কুতটুকু মিল আর অমিল রয়েছে এদের মধ্যে।


আমরা এ দীর্ঘ আলোচনার মধ্যে একটা জিনিস স্পষ্ট করতে পারছি যে, করোনা ভাইরাস এবং 'ওহান400' মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই।


এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, Dean Koonz' কিভাবে জানলেন?

এর উত্তর প্রথমটি হল হয়তো তিনি কোন না কোনভাবে জেনেছেন এ সম্পর্কে। যা তিনি তার উপন্যাসে ব্যক্ত করেছেন। আপনি আর একটা প্রশ্ন করতে পারেন যে, তবে তিনি কেন তার উপন্যাসে এটাকে ব্যক্ত করলেন? উত্তর হল তিনি নিজে কিছু বিষয়ে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন এটা প্রমাণ করার জন্য।

দ্বিতীয় টি হল, হয়তোবা তিনি পরিকল্পনা সাথে জড়িত। আমরা জানি যে পৃথিবীতে ঘটবে, এমন কিছু ঘটনার বর্ণনা এক শ্রেণীর মানুষেরা বেশ কয়েক বছর আগে দিয়ে থাকেন। আমরা যদি তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড খবর নেই, তাহলে দেখতে পারবো যে, তাদের অনেকেই 'ইলুমিনাতি' ছিল। যারা মূলত পৃথিবীর সবচাইতে টপ সিক্রেট কাজগুলোর পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করে থাকেন। সুতরাং যিনি পরিকল্পনা করেন, তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেন। তাই এ সম্পর্কে স্পষ্ট একটা ধারণা পেতে হলে, অবশ্যই আগে Dean Koonz' এর ব্যাকগ্রাউন্ড এবং জীবন সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে। আশা করা যায়, সময় পেলে 'Dean Koonz' এর জীবন সম্পর্কে আরও একটা লেখা লিখব।

'ইংশা আল্লাহ্'............

"যদি আল্লাহ সময় দেন বা হাওয়াতে কুলায়। কারণ এখন কেউ নিরাপদ নয়।"
"আরো একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে কিভাবে মানুষ প্রাণ সৃষ্টি করতে পারবে তাহলে স্রষ্টা দুজন হয়ে যায় সে সম্পর্ক আমি আরেকটা লেখা লিখব । ইনশাল্লাহ ..........."
 

সর্বশেষ আমরা এখানে উপসংহারে বলতে পারি যে, করোনা ভাইরাস বা 'কোভিড-19' একটি জৈবিক অস্ত্র। যা চীন থেকে সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা পরিকল্পিতভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে একটাই, পৃথিবীকে নিজের শক্তি এবং সামর্থের জানান দেওয়া।

আপনি হয়তো বলতে পারেন যে, চীনারা কেন এই কাজটি করবে? চায়না কমিউনিস্টরা এতটা অমানবিক নয়।


বাস্তবতা আমাদেরকে তাই বলে, সারা পৃথিবী দেখেছে চাইনারা নিজেদের ক্ষমতা এবং নিজেদের মতকে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য উইঘুর মানুষদের উপরে কেমন অত্যাচার করেছিল। শুধুমাত্র নিজেদের মত ও শক্তি কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যারা অন্যের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। আপনি তাদেরকে কি করে নৈতিক আদর্শবান বা দয়ালু মনে করবেন?  তাইতো আমি বলি, পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট কোন কাজ, যদি কারো দ্বারা সম্ভব হয়, তাহলে চাইনিজ এবং বুদ্ধদের দ্বারাই সম্ভব। কারণ হল, বৌদ্ধ ধর্মের স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং পরজনম কে অস্বীকার করে। গৌতুম বুদ্ধ কেবল নির্বাণ লাভের বা আত্মবিনাশের সাধনার নির্দেশনা দেয়। যেখানে পরকালের সুখ এবং শাস্তি দুটোই অনুপস্থিত।


তাইতো আমরা দেখি মায়ানমারের বন্ধুরা রোহিঙ্গাদের হত্যা করে তাদের কলিজা চিবিয়ে খেয়েও পৃথিবীতে নিকৃষ্ট তার পরিচয় দিয়েছিল।


কারণ যখন মানুষ সৃষ্টিকর্তার ভয়কে হারিয়ে ফেলে, মানুষের অন্তর থেকে পরকালের ভয় উঠে যায় এবং সে মনে করতে থাকে, এই পৃথিবীতে তার জীবনের শুরু এবং শেষ। সুতরাং জীবন যে কদিন আছে, তাকে যথাযথ ভাবে ভোগ করতে হবে। আর তখন মানুষ তার স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষত্ব থেকে পশুত্বের স্তরে নামতে পারে। কারণ তার সোনার হরিণের তথা বিশ্ব শাসনের স্বপ্ন দু চোখের সামনে ভাসতে থাকে। যা মানুষকে মানুষের থেকে পশু বা তার চেয়েও নিচে নামিয়ে দেয়। বিষয়টা যারা চিন্তাশীল মানুষ তারাই কেবল বুঝতে পারবেন। চিন্তার গভীরতা আপনি যখন নিমগ্ন হবেন, তখনই বুঝতে পারবেন যে, কোন জিনিসটা মানুষকে মানুষ থেকে পশু হতে বাধা দেয়? আর তা হল শাস্তির ভয় বা পরকালের শাস্তির ভয়। আপনি যদি প্রশ্ন করেন, মানুষ কেন আইন মান্য করে? তার উত্তর হবে, মানুষ শাস্তির ভয়ে আইন মান্য করে, মানুষ সুখে থাকার জন্য মান্য করে আইন মান্য করে। সুতরাং মানুষের জীবনে নৈতিকতা তখনই সুপ্রতিষ্ঠিত হবে তখনি যখন তার ভিতরে পরকালের শাস্তির ভয় এবং সুখ পাওয়ার আশঙ্কা জাগবে। 


চায়নাদের মসজিদ গুলোর তালা খুলে দেওয়ার প্রসঙ্গঃ

আপনি হয়তো প্রশ্ন করবেন, তবে চায়নারা কেনসমস্ত মসজিদগুলো খুলে দিয়েছিল? চায়নারা মূলত আল্লাহর ভয়ে মসজিদ গুলো খুলে দেয়নি বরং তারা একে নিজেদের সুবিধার্থে খুলে দিয়েছিল। যাতে বিশ্ব বাসী বিশেষ কবে মুসলিমরা চায়না দের কে ভুল না বুঝে। যাতে করে মুসলিমরা সহ সারা বিশ্ববাসী এটা মনে করে যে, চায়নারা এই ভাইরাসের মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ইসলামের দিকে ফিরে এসেছে । তথা সৃষ্টিকর্তার দিকে ফিরে এসেছে। 

এছাড়াও আরও একটা দূরভিসন্ধি থাকতে পারে তা হল তারা চেয়েছিল যে মুসলিমরা আক্রান্ত হয়ে চীনে মুসলিম শূন্য হয়ে যাক। তাহলে আর নতুন করে উইঘুরদের নির্যাতন করে হত্যা করতে হবে না।

আমরা এখন চীনের দিকে তাকালেই দেখতে পাই যে, চিনি এখন আর নতুন কোনো আক্রান্ত হচ্ছে না।চীনের করোনা আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা ও সবচাইতে কম। যদিও চীনের সবচাইতে বেশি মরার কথা ছিল ।কিন্তু আমরা বাস্তবে দেখছি সম্পূর্ণ বিপরীত।

♧ ♧ ♧


আরো পড়ুন!


[ করোনা ভাইরাস পরিচিতি, সংক্রমণ, প্রাথমিক লক্ষণ, উৎপত্তি,জৈব রাসায়নিক অস্ত্র, দ্যা এজ অফ ডার্কনেস উপন্যাস,সাবেক ইসরায়েলি গোয়েন্দা রিপোর্ট, সর্বশেষে আমার বিশ্লেষণ। ]

[ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে দা এইজ অফ ডার্কনেস উপন্যাসে যা বলা হয়েছে। ]

[ করোনা ভাইরাসের গঠন কেমন। ]

[ করোনা ভাইরাস মানুষের মাঝে কিভাবে এলো? ]

[ করোনা ভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত মানুষ কে?

[ করানো ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ ও বাচার উপায়। ]

[ সাত বছর আগে করোনা ভাইরাস আসছে বলে মানুষদেরকে হুঁশিয়ারি করেছিলেন এক ব্যক্তি।

[ জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র, এবং এর ব্যাবহার । ]

[ চীনের গোপন জৈব ও রাসায়নিক অস্র গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন ইজরায়েল এক সাবেক সামরিক গোয়েন্দা। ]

[ আগামী বসন্তে চীনে নতুন কোন ভাইরাস দেখা দেবে কিনা এব্যাপারে অনিশ্চিৎ ড. জুং নানশান। ( শ্বাসতন্ত্রের রোগ বিশেষজ্ঞ) ]

[ করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজেস্ব মন্তব্য। ১ম পার্ট||| ]

[ করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজেস্ব মন্তব্য। 2য় পার্ট||| ]

[ করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| ৩য় পার্ট||| ]

























কোন মন্তব্য নেই

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট|||

করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মন্তব্য।||| 2য় পার্ট||| আমরা করোনাভাইরাস উৎপত্তি সম্পর্কে ধারাবাহি...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.