করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজেস্ব মন্তব্য। ১ম পার্ট|||
করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক বিপর্যয়? না মানুষের সৃষ্ট? এ সম্পর্কে আমার নিজেস্ব মন্তব্য। ১ম পার্ট|||
বিশ্বব্যাপী এক মহা দুর্যোগের নাম করোনা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাস প্রায় 84,000 মানুষের জীবনহানি করেছে। মানুষ জীবনের ভয়ে ঘর থেকে না বের হয়ে গৃহবন্দী হয়ে জীবনযাপন করছে। নানা কারণে মানুষের মনে একটা প্রশ্ন দানা বাঁধতে উঠেছে। তা হল করোনা ভাইরাস কি মানুষের সৃষ্ট? নাকি স্রষ্টার পক্ষ থেকে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সয়ং করোনা ভাইরাস কে 'চাইনা ভাইরাস' বলি করেছিলেন। যদিও এখন তার বুলি চেঞ্জ হয়েছে। কারণ এই ভাইরাস বর্তমানে আমেরিকা আক্রান্ত হয়েছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটা ডকুমেন্ট তৈরি করেছি, প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে। আজকে আমরা চাই, সে তথ্যের উপসংহার টানতে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন করোনা ভাইরাস কে চাইনা ভাইরাস বলে বিদ্রুপ করতে পারে। সেখানে আমাদের মনে সন্দেহকে আরো শক্তিশালী করে দেয়।
ট্রাম্পের তৃষ্কারের মূল্যায়নঃ
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে আমরা চরম অসহায়। আমরা কেবল যা পারি তা হল সচেতন ও তার মধ্য দিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে।
আমরা সাধারণত জানি থাকি যে চাইনা প্রযুক্তিগুলো খেলনার মতো, বেশি সময় ধরে টিকে না।
একসাথে 30-40 টি গবেষণার প্রজেক্টে কাজ করি। ( উপন্যাসে আমেরিকান সেনার বক্তব্য )
প্রতিপক্ষকে জানান দেওয়া যে আমাদের শক্তি এবং সামর্থের মোকাবেলা করতে তোমরা অক্ষম।
কিন্তু যদি আমর এই সমস্ত দোকান/ ব্যাবসা বন্ধ করি, যদি আমরা বন্ধ করি আমাদের চলমান সকল গবেষণা, কারন, যদি আমরা তামাগুচি লোকদের ভয় পেয়ে যায়, তবে আমরা এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পরাবর্তিত হব। তবে আমাদের শত্রুদের দ্বারা মারাত্মক ভাবে পরাজিত হব, বিশাল একটা সময় আমাদের ভোগাবে।
এই ইনস্টিটিউট বেইজিংয়ের গোপন জীবাণুঅস্ত্র কর্মসূচির সাথে যুক্ত। এই ইনস্টিটিউটে কিছু পরীক্ষাগার সম্ভবত চীনা (জৈবিক অস্ত্র) তে গবেষণা এবং বিকাশের ক্ষেত্রে নিযুক্ত রয়েছে। তবুও চীনা বিডাব্লু সারিবদ্ধকরণের মূল ব্যবস্থা হিসাবে নয়।
জৈবিক অস্ত্রের উপর কাজ দ্বৈত বেসামরিক-সামরিক গবেষণার অংশ হিসাবে পরিচালিত হয়।
যে ল্যাবরেটরিটি চীনের একমাত্র ঘোষিত সাইট যা মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে কাজ করতে সক্ষম।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন হঠাৎ 'চাইনা ভাইরাস' বেরিয়ে এলেনঃ
যখন চীনসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র আক্রান্ত ছিল, তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইনা ভাইরাস বলে তৃষ্কার ছিলেন। সতের ই মার্চ দুনিয়াটা প্রথমবারের মতো চাইনা ভাইরাস কে মহামারী বলে মেনে নেন। ষোল তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক টুইটে বলেন,
চাইনিজ ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত এয়ারলাইনসসহ অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির পাশে শক্তভাবে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।’
তার মেনে নেওয়ার পেছনে,কিছু কারণ থাকতে পারে।
প্রথম কারণ হলো আমেরিকা আক্রান্ত হওয়া এবং মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়া। যা আমেরিকাকে নত হতে বাধ্য করেছিল। আমেরিকার সবচাইতে বেশি আক্রান্ত সিটি হল নিউইয়র্ক নিউইয়র্কের মেয়র বিল দ্য ব্লাসিও বলেনঃ
আমাদের এশিয়ান-আমেরিকা সম্প্রদায়ের মানুষ ইতিমধ্যে ভুগছে। তাদের প্রতি আর বেশি গোঁড়ামি দেখানোর প্রয়োজন নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উক্তি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যম হিসেবে করোনা ভাইরাস কি বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দিয়েছে।
স্থান বিশ্লেষণঃ
করোনাভাইরাস উৎপত্তি হয় চীনের হুবেই প্রদেশের ওহান সিটি থেকে। এই ভাইরাস যাকে প্রথম আক্রম আক্রমণ করে তার নাম হলো গুইশিয়ান। তার বয়স 57 বছর তিনি হুনার মার্কেটে, বন্যপ্রাণী বাজারে সামুদ্রিক প্রাণী বিক্রি করতেন। তিনি হঠাৎ 10 ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি প্রথমে ধারণা করেছিলেন যে এটা 'সাধারন ফ্লু' জাতীয় সমস্যা। কারণ তিনি প্রতি বছর আক্রান্ত হন। তিনি নিকটতম হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরবর্তী তিনি আবার ওষুধের জন্য গেলে ডাক্তাররা তাকে হাসপাতলে পরীক্ষার জন্য পাঠান। এবং 30 ডিসেম্বর তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ততোদিনে 24 জন লোক আক্রান্ত হয়। যাদের প্রত্যেকে কোন না কোনভাবে হুনার মার্কেটে সম্পৃক্ত ছিল। গুইশিয়ান বলেন, এর পূর্বে তিনি কখনও এতটা ক্লান্তি অনুভব করেননি। এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, এই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে হুনান মার্কেট থেকে।
পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ এই সংক্রমণের জন্য বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক প্রাণীদের কে দোষারোপ করে থাকেন। এই বিষয়ে আমি এর আগেই একটা কালাম রেখেছিলাম। চাইলে আপনারা নিচের লিঙ্ক থেকে তা দেখে আসতে পারেন।
কোন প্রাণীর থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে কিনাঃ
এখন আমার প্রশ্ন হল, পৃথিবীর কোন প্রাণীর শরীর যদি এই ভাইরাস কে বহন করতে না পারে, তাহলে এই ভাইরাস কি করে সামুদ্রিক প্রাণী, বা বন্যপ্রাণী বহন করে মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দিল। এটা স্ববিরোধী কথা নয় কি?
যদি আমরা ধরে নেই, বন্যপ্রাণী বা সামুদ্রিক প্রাণী থেকে এই ভাইরাস মানুষের মাঝে ছড়িয়ে। তাহলে আমাদেরকে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে, মানুষ ছাড়াও বন্যপ্রাণী এবং সামুদ্রিক প্রাণী এ ভাইরাস বহন করতে সক্ষম।
যদি বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক প্রাণীরা এই ভাইরাস বহন করতে সক্ষম হয়, তাহলে আরও একটা প্রশ্ন আমাদের সাম্নে এসে যায়, তবে কেন প্রাণি জগৎ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে না? তবে কি প্রাণীর শরীরে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক রয়েছে? যদি প্রাণী শরীরে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক থেকে থাকে, তবে তা মানুষের শরীরে প্রয়োগ করলে, মানুষ এই ভাইরাস থেকে আরোগ্য লাভ করবে। যেহেতু বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে দেখেছেন যে, এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রাণী পাওয়া যায়নি যার শরীরে করোনা ভাইরাস এর প্রতিষেধক রয়েছে। তাই এ দাবি ও প্রত্যাখ্যান হয়ে যায়।
তাহলে ধরে নিতে হবে যে, এই ভাইরাস কোন প্রাণী থেকে ছড়ায়নি বরং অন্য কোন ভাবে মানুষের শরীরে এসে প্রবেশ করেছে।
কোন মন্তব্য নেই